প্রধান পৃষ্ঠপোষকের বাণী
“ঘুমিয়ে আছে শিশুর পিতা সব শিশুরই অন্তরে” এ কথা সর্বজন স্বীকৃত। আজকের শিশুরাই আগামী দিনের ভবিষ্যৎ। তারাই দেশ ও জাতির কর্ণধার। তারাই দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাবে উন্নয়নের সর্বোচ্চ পর্যায়ে। তাদের কর্মেই রচিত হবে জাতির আশা,আকাক্সক্ষা ও স্বপ্ন। কেননা উন্নয়নের বীজমন্ত্রটি নিহিত রয়েছে প্রতিটি শিশুর মধ্যে। একজন শিক্ষক ও অভিভাবকের দায়িত্ব হলো শিশুর সুপ্ত প্রতিভাকে জাগ্রত করে পরিচর্যার মাধ্যমে মেধার বিকাশ ঘটাতে সাহায্য করা। পরিপূর্ণ জীবন বিকাশই শিক্ষা। শিক্ষা ও মনুষ্যত্বের বিকাশ মানুষের জীবনকে করে আলোকিত। শিক্ষা মানুষকে প্রগতিশীল চিন্তার ধারক ও বাহক হতে সহায়তা করে,অন্তর্জগতকে আলোকিত করে ও বহির্জগতকে সর্বাঙ্গীণ সুন্দর করে। নতুন প্রজন্ম পরিপূর্ণভাবে বিকশিত হয়ে উঠে শিক্ষালব্ধ সুপ্ত গুণাবলী উদ্ভাসিত করার মধ্য দিয়ে।
প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার তাৎপর্যপূর্ণ উদ্দেশ্যগুলোর মধ্যে জাতীয় ঐতিহ্য, সংস্কৃতি ও মূল্যবোধের সংযোগ ঘটানো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং এসবের ভেতর দিয়েই শিক্ষার্থীদের সৃজনশীল প্রতিভার বিকাশ ও পরিচ্ছন্ন দৃষ্টিভঙ্গি তৈরি হয়। নির্ধারিত পাঠ্যক্রমের পাশাপাশি সহশিক্ষা কার্যক্রম শিক্ষার্থীদের দক্ষতা ও জ্ঞানকে বিকশিত করে এবং তাকে করে তোলে সৃজনশীল সত্তার অধিকারী।
প্রত্যাশা থাকবে, জলসিঁড়ি ক্যান্টনমেন্ট স্কুল ও কলেজের শিক্ষার্থীদের শিক্ষাজীবনে অর্জিত আর্দশ, মূল্যবোধ ও নীতি-নৈতিকতাই হবে তাদের লক্ষ্যে পৌঁছার একমাত্র পাথেয়। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়তে ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে প্রকৃত শিক্ষার আলোয় উদ্ভাসিত হতে হবে।
মেজর জেনারেল মঈন খান,এনডিসি,পিএসসি
চিফ প্যাট্রন
জিওসি ও এরিয়া কমান্ডার লজিস্টিকস এরিয়া